
জুলাই৩৬ নিউজ | ঢাকা | ২২ জুলাই ২০২৫, দুপুর
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের একদিন পর মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
কিন্তু সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও প্রশ্নবানে মুখোমুখি হন দুই উপদেষ্টা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে ধরেন। মুহূর্তেই চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে স্লোগান ও প্রতিবাদ। কিছুক্ষণ পর ৫ জন শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি দল দুই উপদেষ্টার সঙ্গে কলেজের একটি ভবনে আলোচনায় বসেন।
ছাত্রদের ৬ দফা দাবি
এদিকে সকাল ১০টা থেকেই কলেজ সংলগ্ন গোলচত্বরে জড়ো হতে থাকেন শত শত শিক্ষার্থী। ‘বিচার চাই না, সন্তানের মরদেহ চাই’, ‘সঠিক তালিকা চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সড়কে বসে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের দাবিগুলো হলো:
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় বিমান ও ভবনে।
সেই সময় ক্লাস চলছিল, শিক্ষার্থীরা ভবনের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী:
🔺 নিহত: ২৭ জন (এরমধ্যে ২০ জনই শিশু)
🔺 আহত: অন্তত ৭৮ জন, যাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।
সারাদেশে চলছে শোক ও দোয়া
সোমবার রাতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় কেন্দ্র থেকে শোক ও সহানুভূতির বার্তা জানানো হয়।